এক নজরে হিমু

হিমু


সাহিত্য সম্রাট হুমায়ুন আহমেদ তার কলমের আচড়ে তৈরী করে গিয়েছেন কিছু জনপ্রিয় কাল্পনিক চরিত্র। প্রতিটা চরিত্রই আচরণ আর ব্যাক্তিত্বের দিক থেকে আলাদা। আলাদা হলেও পাঠক মনে সাড়া জাগিয়েছে প্রতিটি চরিত্র। হিমু তেমনই একটি কাল্পনিক চরিত্র।

ছন্নছাড়া বাউন্ডুলে চরিত্রের বেকার যুবক হিমু। বাবা চেয়েছিলেন ছেলে মহাপুরুষ হবে। বাবার দেয়া হিমালয় নামটি পরবর্তীতে হিমু নামে পরিচিতি পায়। যুক্তিতর্কের ধার ধারে না হিমু। উদাসীনতা, অযৌক্তিক ব্যাক্তিত্ব, মানুষকে বিভ্রান্ত করাই এই চরিত্রের প্রধান স্বভাব। পাঠক মনে হিমু নাম আসতেই ফুটে উঠে হলুদ রঙ। হলুদ রঙ যেন হিমু চরিত্রের সাথে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে। লেখক হিমুকে পাঠকদের সামনের তুলে ধরেছেন হলুদ পাঞ্জাবির সাথে। পকেট ছাড়া হলুদ পাঞ্জাবিতে খালি পায়ে ঘুরে বেড়ানো হিমুর অন্যতম প্রিয় এক কাজ। অদ্ভুত স্বভাবের জন্য অনেকের কাছেই প্রিয় ব্যাক্তিত্ব তিনি। 

হিমুর মধ্যে লেখক কিছু আধ্যাত্মিক শক্তি তুলে ধরেছেন । তার নিজস্ব একটি ভুবন আছে। সেখানে একটি ময়ুরাক্ষী নামের নদীও আছে। হিমু যেখানে সেখানে নিজের ইচ্ছামতোন সেই নদী দেখতে পারে। নারীর ভালোবাসা উপেক্ষা করার মত শক্তিও তার রয়েছে। রূপার মতো মায়াবতী কেউ যখন তাকে ভালোবেসে নীল শাড়ি পড়ে অপেক্ষা করে তখন সেই ভালোবাসা উপেক্ষা করার ক্ষমতা শুধু এই হিমু চরিত্রেরই রয়েছে।

এক কথায় ছোট বড় সবার মনে জায়গা করে নেয়ার জন্য হিমু চরিত্র যথেষ্ট। 



ছবি সংগৃহীত

Comments

Popular posts from this blog

হুমায়ুন আহমেদের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস

Best tourist Attraction in Bandarban